আমরা যতই বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের জিনিসপত্রই ব্যাবহার করিনা কেন দিন শেষে হারবাল পণ্যের উপর এক গোপন দুর্বলতা আমাদের সবারই কম বেশি রয়েছে।
একটা সময় ছিলো আমাদের দাদী নানীদের আমলে, খাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকচর্চা, কেশচর্চা অথবা মেয়েলি বিভিন্ন রোগ সবকিছুর সমাধান কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হারবাল প্রোডাক্ট দিয়েই হতো।
টেকনোলজির উন্নতি সাধনের সাথে সাথে আমরাও কেমন সবাই নির্ভরশীল হয়ে পরলাম আর্টিফিশিয়াল অথবা মেশিনে বানানো সব নিত্যব্যবহার্য তৈজসপত্র, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্যাদি ইত্যাদির উপরে।
তো ইদানীং আবার যুগের হাওয়ায় নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে, আবার ঘুরেফিরে সেই হারবাল প্রোডাক্টেই আমরা কীভাবে যেন আমাদের ভালো লাগা, তৃপ্তি সব খুঁজে পেয়েছি।
যাই হোক, এতো বেশী বকবক না করে চলুন চলে যাই মুল বিষয়ে, প্রাত্যাহিক জীবনে হারবাল পণ্যের প্রয়োজনীয়তা ও এর উপকারিতায়-
ন্যাচারাল আদাগুঁড়াঃ
প্রক্রিয়াজাত শুকনো আদাগুঁড়ার রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ। এই আদাগুঁড়া নিয়মিত খেলে আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কন্সটিপেশন দুর করবে, আমাশয় ও দুর হবে।পেটের যে কোন পীড়া দমনে এই আদার কোন বিকল্প নেই। পেটের অতিরিক্ত ফাঁপা ভাব, অতিরিক্ত গ্যাস, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সব চলে যাবে আপনার যদি নিয়মিত শুকনো আদাগুঁড়া খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এছাড়াও বুকের কফ দূরীকরণে এবং হার্টকে সবল করতেও এই আদার ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন এই আদাগুঁড়ার সাথে সামান্য লবন, পাতিলেবুর রস এবং কুসুম গরম পানি মিশিয়ে খেলে, আপনার শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ও কমে যাবে।
শুকনো আদায় রয়েছে ন্যাচারাল এন্টি এক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য অনেক কার্যকরী উপাদান যা শরীর অথবা মাংসপেশির ব্যাথা কমাতেও কার্যকর। আপনার রেগুলার ডায়েটে আপনি যদি শুকনো আদাগুঁড়া অন্তর্ভুক্ত করেন, এই আদা আপনার শরীরে থাকা হজমে সহায়ক এনজাইম যেমন- ট্রিপসিন এবং লিপাস কে এক্টিভ করে। ফলশ্রুতিতে আপনার শরীরের প্রোটিন এবং ফ্যাট সহজেই ভেঙে আপনাকে স্লিম এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
বিশেষ করে শীতের সময় অনেকেই তাদের চুল এবং ত্বকের সমস্যা নিয়ে ভোগেন। ত্বক অথবা চুলের যে কোন সমস্যার খুব সহজ সমাধান ও আপনি পেতে পারেন এই ন্যাচারাল আদাগুঁড়া থেকেই।
ন্যাচারাল আদাগুঁড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন: https://rb.gy/01ixey
ন্যাচারাল আমলকিঃ
প্রাচীন কাল থেকে আমলকি বিশেষ করে মেয়েলী বিভিন্ন রোগের ওষুধ এবং রূপচর্চার অংশ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। আমলকি এমন একটি ফল যার পাতা ফল সবই ভেষজ উপাদান হিসেবে খাওয়া এবং ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমলকির কোন তুলনা নেই।আমলকিতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, রয়েছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর এন্টি টক্সিন এক্টিভিটি। ন্যাচারাল আমলকি শরীরের সব বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।
যেসব রোগ নিরাময়ে আমলকির সহায়তা পেতে পারেন- সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, ব্রঙ্কাইটিস, এজমা, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরের অতিরিক্ত সুগার নিয়ন্ত্রণ, মুখের আলসার, দাঁতের ক্ষয়রোগ, মুখে বয়সের ছাপ দূরীকরণে, চুল পরা বন্ধ করা ইত্যাদি।এ ছাড়াও আমলকিতে থাকা ক্যারোটিন চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দারুণ ভুমিকা রাখে। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে আপনার লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়বে৷ এছাড়াও আমলকিতে থাকা পলিফেনল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়। শোনা গেছে টিবি অথবা টিউবারকিউলোসিস রোগের বিরুদ্ধে ও ফাইট করে আমাদের এই দেশীয় ফল আমলকি।
ন্যাচারাল আমলকি কিনতে এখানে ক্লিক করুন: https://rb.gy/ln1usc
ন্যাচারাল ইসবগুলের ভুসিঃ
ইসুবগুলের ভুসির উপকারীতা জানেনা এমন মানুষ এ যুগে বিরল। বিশেষ করে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন, পেট ঠান্ডা রাখা, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করা, আমাশয় অথবা হজমে সমস্যা দুর করতে এই হারবাল প্রোডাক্টের ভুমিকা অপরিসীম।
এই ভুসিতে রয়েছে মিউসিলেজিনাস। যা পাকস্থলীর মিউকোসা লেয়ার কে বেশী কার্যকরী হতে সহায়তা করে। ফলে পেটের আলসার জনিত ব্যাথা সহজেই কমে যায়। এছাড়াও ইসবগুলের ভুসি তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এমাইনো এসিড। এই এমাইনো এসিড গুলো কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে সহায়তা করে।
আপনি যদি আঁশসমৃদ্ধ হারবাল আইটেম এর তালিকা করতে যান, প্রথমেই আসবে এই ভুসির নাম। নিয়মিত এই ভুসি সেবনে পেটের যে কোন রোগ নিরাময় হয়।
এ ছাড়াও অন্যান্য রোগ যেমন, ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং অতিরিক্ত ওজন কন্ট্রোলে আনতেও এই ভুসি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে। পাইলস রোগীরা প্রতিদিন কয়েকবার ইসুবগুল ভুসির শরবত খেলে অনেক উপকার পান।
এতসব রোগ নিরাময় ছাড়াও শরবত হিসেবে এই প্রোডাক্টের রয়েছে প্রচুর জনপ্রিয়তা।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে, ঠান্ডা পানি আর খেজুরের গুর দিয়ে এক গ্লাস ইসুবগুল ভুসির শরবত বানিয়ে খেয়ে দেখবেন-কি অপুর্ব এর স্বাদ!
ন্যাচারাল ইসবগুলের ভুসি কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/oaaqkb
চিয়া সীডঃ
ইদানীং ডায়েট কন্ট্রোল করা নারী পুরুষের ডায়েট লিস্টে চিয়া সিড এর ব্যবহার বেশ ভালো ভাবেই বেড়েছে। প্রথমেই আসি ডায়েট কন্ট্রোল এ চিয়া সিড এর ভুমিকা নিয়ে। চিয়া সিড এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে নিউট্রিয়েন্ট এবং লো ক্যালরি। চিয়া সিড হলো হোল গ্রাইন খাদ্যশস্য। বাই ন্যাচারাল, এই খাদ্যশস্য টি গ্লুটেন ফ্রি। সো ডায়েট কন্ট্রোলার দের জন্য একটি সুপার আইটেম।
২৮ গ্রাম চিয়া সিড এ রয়েছে কেবল ১২ গ্রাম কার্ব। মঝাদার ব্যাপার হলো এই ১২ গ্রামের মধ্যে ১১ গ্রাম আবার ফাইবার যেটা আপনার শরীরে ডাইজেস্ট হয় না। ফলে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে, খাবারের এবজরপশন টাইম বাড়াবে ফাইনালি আপনাকে কম ক্যালোরি ইন্টেক করতে বাধ্য করবে।
চিয়া সিড এ ভালো পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।এছাড়াও তাদের রয়েছে এসেনসিয়াল এমাইনো এসিড৷ সো পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও এই প্রোডাক্টের ভুমিকা অনেক বেশী।
চিয়া সিড এ এন্টি অক্সিডেন্ট কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এই এন্টি অক্সিডেন্ট গুলো শরীরের বিভিন্ন ফ্রি রেডিক্যালস গুলোর সাথে ফাইট করে এবং ক্যান্সার সেল কে সাপ্রেস করে।
চিয়া সিডে থাকা উচ্চমাত্রার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড মানুষের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এ ও অনেক বড় সহায়তা করে!
চিয়া সীড কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/rhdzi6
চিরতাঃ
চিরতা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন রোগের মহা নিরাময়ের উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। চিরতা একটি প্রাচীন ওষধীগাছ হিসেবে প্রাচীন আয়ুর্বেদ ও চরক সংহিতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে।
যাই হোক প্রথমেই আসি এর জ্বর সারানোর গুণ নিয়ে-
সিজনাল জ্বর, ঠান্ডা, শরীর ব্যাথা ইত্যাদি কমানোর ক্ষেত্রে চিরতা মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে।এছাড়াও যাদের এলার্জির সমস্যা বেশি, তারা যদি নিয়মিত চিরতার রস পান করেন, তাহলে এ সমস্যা কমে যাবে। প্রবল হাপানি কমাতে অথবা অর্শের রক্ত পড়া কমানোতে চিরতা কার্যকরী।
এছাড়াও এলার্জির সমস্যায় যাদের হাত পা চুলকায় চুলকানি হয়ে যায়, আক্রান্ত স্থানে চিরতা বাটা বা পেস্ট দিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
চিরতা কৃমি নিয়ন্ত্রণ করে, পচা খোসপাঁচড়া সারায়, চুল উঠা বন্ধ করে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং সর্বশেষে হৃদরোগের ঝুঁকি ও কমায়।
চিরতা কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/mt6r8d
জাম বীজঃ
জামের বীজ কি কাজে লাগতে পারে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! অবাক হলেও সত্যি এই জামের বীজেই রয়েছে ডায়বেটিস নামক স্লো পয়জন রোগের মহাঔষধ। শুধু ডায়বেটিস না, জামের বীজে রয়েছে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক গুনাগুন। হজমের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ এমনকি দাঁতের বিভিন্ন সমস্যাতেও জামের বীজের পাউডার অনবদ্য। জানেন কিনা জানিনা, তবে জেনে রাখেন এই জাম বীজ ( জাম সহ) থেকে কিন্তু মদ এবং ভিনেগার ও তৈরী করা হয়।
জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি।এছাড়াও জামে থাকা জাম্বোলাইন এবং জাম্বোসাইন রক্তে শর্করা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। জামের বীজে থাকা প্রোফাইল্যাকটিক ক্যাপাবিলিটি হাইপাএগ্লাইসেমিয়া নিরাময়ে সহায়তা করে৷ আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জামের বীজ গুড়ো রাখেন, এর এন্টি ডিউরেটিক প্রপার্টি আপনার ঘন ঘন মুত্রত্যাগ কমিয়ে দিবে।জাম থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট আপনার বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
জাম বীজ কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/jcrfwo
তুলসি:
তুলসীপাতা খাওয়ার উপকারীতা শুনলে নিশ্চিত আপনি অবাক হয়ে যাবেন।গত প্রায় ৫০০০ বছরের ও বেশী সময় ধরে তুলসীগাছ কে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন রোগ সারানোর জন্য। চুল থেকে শুরু করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা অথবা শরীরের ভিতরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তুলসীর তুলনা তুলসী নিজেই। তুলসী যা কুইন অব হার্বস নামে পরিচিত, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুযায়ী এ গাছের পাতা নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ উপসমের ক্ষমতা বাড়ে, এবং শারীরিক মানসিক বিভিন্ন সংক্রমণের চান্স ও অনেক কমে যায়৷
তুলসীর প্রথম গুণ, এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে এখানে পাথর হওয়ার চান্স অনেক কমিয়ে দেয়। তুলসীতে রয়েছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট যা শুধু কিডনিই নয়, বরংচ মানবদেহের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। মঝার ব্যাপার হলো, কিডনিতে পাথর হওয়ার পরে যদি কেউ নিয়মিত মধু দিয়ে তুলসি পাতার নির্যাস পান করে, তাহলে কিডনির পাথর গলে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, তুলসীতে থাকা ডিটক্সিফাইং এজেন্ট শরীরের ইউরিক এসিড বাড়তে দেয়না। এবং এই ইউরিক এসিডের আধিক্যের কারনেই সাধারণত কিডনিতে পাথর হয়।
তুলসিতে রয়েছে ইউজেনল, যেটা উচ্চরক্তচাপ এবং হাই কোলেস্টেরল এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের উপর অযাচিত প্রেসার কমিয়ে রাখে।
তুলসীর অন্যতম আরেকটা গুণ হলো, এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান এন্টি কার্সিনোজোনিক এজেন্ট প্লাস এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার সেল কে ভেঙে ফেলতে সহায়তা করে।কথিত আছে, নিয়মিত তুলসীপাতার রস খেলে অথবা কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেলে ব্রেস্ট অথবা ওরাল ক্যান্সারের নিরাময়ে অনেক দুর এগিয়ে যাওয়া যায়।
পেটের বিভিন্ন পীড়া যেমন, গ্যাস্ট্রিক প্রব্লেম, আলসার, ব্লটিং আমাশয় অথবা অন্যান্য রোগ নিরাময়ে তুলসী পাতার ভুমিকা অনবদ্য।
আপনি জানেন কিনা, এন্টি অক্সিডেন্ট হলো সুগার অথবা ডায়বেটিস এর সবচাইতে বড় শত্রু। তুলসীতে রয়েছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট যা রক্তে শর্করা এবং সুগারের পরিমান কমায়। তুলসীপাতা নিয়মিত খেলে মুখের দুর্গন্ধ দুর হয়, ঠান্ডা জ্বর কাশি, বুকে কফ ইত্যাদির উপশম হয়। এছাড়াও চোখের নানান রোগ সারাতেও তুলসী কার্যকরী।তুলসীতে রয়েছে এন্টি স্ট্রেচ এজেন্ট, রয়েছে মাথার যন্ত্রণা কমানোর বিভিন্ন উপাদান।
তুলসি কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/pmhijp
তেঁতুল বীজঃ
তেঁতুলবীজ চুর্ন বা পাউডার হচ্ছে ভিটামিন সি এর অনেক বড় সোর্স। এই পাউডার এর রয়েছে অসাধারণ যৌন রোগের নিরাময় ক্ষমতা। দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করা, যৌনশক্তি বৃদ্ধি করা, বীর্যের উৎপাদন বাড়ানো, শুক্রের উৎপাদন বাড়ানো ইত্যাদি কাজে শুকনো তেঁতুল বীজ এর পাউডার অনেক মারাত্মক ভুমিকা পালন করে। এছাড়াও পুরুষদের যাদের অতিরিক্ত স্বপ্নদোষর সমস্যা রয়েছে, এই পাউডার তা বন্ধ করতে সহায়তা করে।
তেতুল এর বীজে রয়েছে প্রচুর এমাইনো এসিড, যা ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে ত্বকের কাছে পৌছুতে দেয় না।
শুধু পুরুষদের জন্যই না, মহিলাদের জন্য ও তেঁতুল বীজের রয়েছে অনেক উপকারী ভুমিকা। এটি মহিলাদের জরায়ুর শক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি বমন কমায়, এবং রুচি বাড়ায়, ক্লান্তি শ্রান্তি কমায় এবং পিপাসা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি উচ্চরক্তচাপ কমায় এবং কোলেস্টেরল কমায়।
কসমেটিকস পাউডার হিসেবেও তেঁতুল বীজ এর পাউডার এর অনেক ভুমিকা রয়েছে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দুর করে ত্বকের ব্রণ দুর করে এবং ত্বক করে আরো উজ্জ্বল, আরো লাবণ্যময়।
তেঁতুল বীজ কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/gh8bgz
ত্রিফলাঃ
ত্রিফলা একটি অতী প্রাচীন ভেষজ উপাদান যা মুলত বানানো হয় আমলকি, বহেড়া এবং হরিতকীর মিশ্রণ থেকে।ত্রিফলা একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান যার রয়েছে বিভিন্ন রাসায়নিক গুণাবলী। ত্রিফলার রয়েছে অসাধারণ জীবনীশক্তি যা আমাদের শরীরের জন্য আহামরি ধরনের পথ্য হিসেবে কাজ করে।
এটি যে কোন ক্ষত সারিয়ে দেয় নিমিষেই। এতে রয়েছ এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং এন্টি বায়োটিক উপাদান যা শরীরের ইম্যুউনিটি সিস্টেম কে বুস্ট করে এবং যে কোন ক্ষত এক নিমিষেই সারাতে সহায়তা করে।
রক্তচাপের প্রব্লেম, হুট করে উচ্চ রক্তচাপ অথবা নিন্ম রক্তচাপ-সবক্ষেত্রেই ত্রিফলা কার্যকর। নিয়মিত ত্রিফলা খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসে। ত্রিফলাতে রয়েছে লাইলোনিক এসিড যা ব্লাডের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ত্রিফলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে সমস্ত পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়।
আপনি যদি আপনার এংজাইটিস এবং নিয়ন্ত্রণ ছাড়া স্ট্রেচ কে কন্ট্রোলে আনতে চান, নিয়মিত ত্রিফলা খান। ত্রিফলায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান সমুহ আপনার মানসিক চাপ কমায়, আপনার চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, পাশাপাশি আপনার অতিরিক্ত ওজন বাড়ার চান্স নিউট্রালাইজ করে।এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ত্রিফলা কাজ করে, ত্রিফলা বাওয়েল মুভমেন্ট বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।এ ছাড়াও এটি কোলনকে পরিশোধন করে,খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ক্যান্সার সেল দূরীকরণে ও অনেক বড় ভুমিকা রাখে।
ত্রিফলা কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/klq4uo
থানকুনিঃ
পেটের পীড়া দমনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে যে হার্ব, সেটি হলো থানকুনি। থানকুনি একটি বহুল প্রচলিত ঔষধী শাক যা পাশাপাশি বিভিন্ন ভর্তা বা ভাজি করেও ভাতের সাথে এমনি এমনিই খাওয়া যায়।
থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাইক্লিক ত্রিটারপিন নামক উপাদান যা মানুষের ব্রেন সেলের ক্ষমতা দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি করে। নিয়মিত থানকুনি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে, মানুষের মস্তিষ্কের পাওয়ার বাড়ে।
থানকুনি খেলে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে, পেটের সমস্যা যেমন আমাশয়, হজমে সমস্যা, ইত্যাদি কমায়। এটি গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যাও দুর করে।
থানকুনি কাশির প্রকোপ কমায়, জ্বর ও ঠান্ডা নিরাময়েও অংশগ্রহণ করে।হাফ লিটার দুধের সাথে থানকুনির রস মিশিয়ে নিয়মিত সেবনে গ্যাস্ট্রিক সহ পেটের যে কোন পীড়া একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
থানকুনি কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/vihhgp
দারুচিনি গুড়াঃ
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অথবা চাইনিজ মেডিসিন শাস্ত্র অনুযায়ী দারুচিনি গুড়া অনেক মুল্যবান একটি ভেষজ উপাদান। শত শত বছর ধরে এই হার্বাল মসলাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে।
প্রথমেই শুরু করা যাক দারুচিনির এন্টি অক্সিডেন্ট গুণাবলি সম্বন্ধে। এতে রয়েছে পলিফেনলস নামক এন্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্নরকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে।
আপনার যদি কথায় কথায় পেটে এসিডের প্রবলেম হয়ে থাকে, তাহলে আপনার উচিৎ এখন থেকেই নিয়ম করে দারুচিনি গুড়া সেবন করা। এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতন দারুচিনি গুড়া ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে, পেটে এসিডের আধিক্যের কারনে সৃষ্ট সকল জটিলতা নিরসন হয়।
বাত অথবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলেও আপনি দারুচিনি গুড়া খেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিদিন দুবেলা, মধু এবং কুসুম পানির সাথে মিশিয়ে দারুচিনি খেতে হবে।
সকালবেলা খালি পেটে লেবু আর দারুচিনি গুড়ার শরবত করে খেলে, এটি ফ্যাট বার্নার হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে সুন্দর শেপ নিয়ে আসে।
দারুচিনির গুড়া নিয়ম করে খেলে হজমের সমস্যা দুর হয়, জ্বর ঠান্ডা কাশি ইত্যাদি দুর হয় এবং এছাড়াও এটি মুখের দুর্গন্ধ দুর করে।
হার্ট এর সু-স্বাস্থ্য রক্ষায়,ব্লাডের সুগার কমানোতে, এবং মস্তিষ্কের ঝুঁকি কমায় দারুচিনি। দারুচিনি ত্বক সুন্দর করে, এবং ফাইনালি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
যাই হোক, অতিরিক্ত দারুচিনি আবার কিছু অপকারীতাও নিয়ে আসে। কিডনি এবং লিভারের উপর অতিরিক্ত প্রেসার পরে, ফলে এদের বিকল হওয়ার চান্স বাড়ে।
দারুচিনি গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/slay3o
ন্যাচারাল নবশক্তিঃ
BCSIR ল্যাব থেকে পরীক্ষিত এই প্রোডাক্টটি মূলত নয়টি অত্যন্ত কার্যকরী ভেষজ উপাদানের মিশিয়ে তৈরী করা হয়। এই নয়টি উপাদানের প্রতিটিই সুপ্রাচীন, এবং বহুল প্রচলিত রোগ নিরাময় এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
নয়টি উপাদান হচ্ছে-
অশ্বগন্ধা, শিমুল গাছের মূল, তালমাখানা, চীনা বাদাম, তোকমা দানা, তেতুল বীজ, শতমূলী, আলকুশি, কাঠ বাদাম ইত্যাদি।
অশ্বগন্ধাঃ সর্দিকাশি, চোখের ব্যথা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগের নিরাময়ে অশ্বগন্ধা কার্যকরী।
শিমুল গাছের মূলঃ পুরুষের যাবতীয় যৌন রোগের নিরাময়ে বহুল প্রচলিত।
তালমাখানাঃ এটি শুক্রবর্ধক, বীর্য গাঢ়কারক। এ ছাড়াও যৌন শক্তি বাড়ায়, স্বপ্নদোষ নিবারন করে। মহিলাদের লিউকোরিয়া দুর করে। শুক্রমেহ, যৌনদুর্বলতা এবং অন্যান্য স্নায়বিক দুর্বলতা দুর করে। এছাড়াও দেহ ও মনে প্রফুল্লতা বাড়ায়।
চীনা বাদামঃ চীনাবাদাম এ রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন এ, বি সি, পটাসিয়াম, তেল এবং মিনারেল।ভিটামিন এবং মিনারেল এ ভরপুর এই খাদ্যশস্য টি বিভিন্ন পুষ্টিগুনে ভরপুর।
চীনাবাদাম খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে, ত্বক এবং চুল সুন্দর হয়। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে।
চীনাবাদামের এন্টি অক্সিডেন্ট এবং কার্বোহাইড্রেট এ ভরপুর, এটি মস্তিষ্ক সুগঠিত করে, পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্যে করে।
তোকমা দানাঃ তোকমা দানা দেহের ওজন কমায়, শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে,রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে, এসিডিটি দুর করে। এছাড়াও ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও এটি ব্যবহৃত হয়
তেঁতুল বীজঃ বল কারক, শরীরের দুর্বলতা দুর করে, বীর্য উৎপাদন বাড়ায়, স্বপ্নদোষ কমায় এবং যৌনশক্তি বাড়ায়।
শতমূলীঃ এসিডিটি কমায়, আমাশয় ডায়রিয়া কমায় এবং শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
আলকুশিঃ শুক্র প্রোডাকশন বাড়ায়, বাত রোগের উপশম করে, স্নায়বিক দুর্বলতা কমায়।এটি মূত্রবর্ধক। এছাড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা অথবা জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদিতেও ফলপ্রসূ।
কাঠবাদামঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগ, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি দুর করে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে প্রাকৃতিক এই নয়টি উপাদানের রয়েছে এমন সব উপাদান যা একজন পরিপূর্ণ মানুষের শক্তি আরো বাড়িয়ে তাকে করে তোলে সবল এবং দুর্দান্ত।
ন্যাচারাল নবশক্তি প্রথমেই শরীরের সকল অবসাদ, ক্লান্তি, শ্রান্তি ইত্যাদি দুর করে। পাশাপাশি মানসিক প্রেসার কমায়, যে কোন শারীরিক মানসিক লোড নিতে সাহায্য করে।
বিশেষ করে যৌন উত্তেজক হিসেবে এবং তারুন্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে এই প্রোডাক্টটির ভুমিকা অপরিসীম।
নিয়মিত সেবনে, শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায় এবং কনজ্যুগাল লাইফে ফিরিয়ে আনে নতুন প্রাণ।
ন্যাচারাল নবশক্তি কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/fiscgh
বাসক পাতা গুড়াঃ
দুনিয়ার উপকারী সব গুনে ভরপুর বাসক পাতা গুড়া। যেমন, বাচ্চার পেটে কৃমি হলে বাসকের কাথ খাওয়াতে পারলেই হলো। বাসকের কাথের তিক্ত ফ্লেবার পেটের ভিতরের সমস্ত কৃমি বের করে দেয়।
বাসকের পাতা গুড়া পুড়িয়ে তার ধোঁয়া সেবন করলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়। যাদের শরীরে প্রচুর ঘামের গন্ধ হয়, বাসকের পাতার রস শরীরে মাখলে গন্ধ এক নিমিষেই চলে যাবে।
বাসকে রয়েছে ভাসিসিন নামক ক্ষার এবং তেলের মিশ্রণ। এটি শ্বাসনালীতে গেলে বিভিন্ন লালাগ্রন্থিকে এক্টিভ করে। তাই বাসক উতকৃষ্ট শ্লেষ্মানাশক হিসেবেও কাজ করে। ফলে সর্দি কাশি অথবা শ্বাসনালীর অন্যান্য প্রদাহ অনেক কমে যায়। বুকে কফ জমে থাকলে বাসক সেই কফ বের করে দেয় এবং শ্বাসকষ্ট কমায়।
বাসকের গুড়ার সাথে সামান্য পানি বা তেল মিশিয়ে চুলে দিলে মাথার উকুন কমে যায়। আমবাত এবং ব্রণশোথের ব্যথা এবং ফোলা কমাতেও বাসক পাতার গুড়া কার্যকরী।
যাদের ইউরিন ইনফেকশন রয়েছে, বাসক পাতার গুড়ার শরবত করে খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়।
অনেকের শরীরে দাদ অথবা চুলকানির সমস্যা থাকে, বাসকের গুড়ার মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাদ বা চুলকানি চলে যায়।
বাসক জন্ডিস এবং খিঁচুনি রোগ উপশমকারী।এছাড়াও পাইরিয়া অথবা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদিতে ও বাসক অনেক উপকার করে।
বাসক ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে। বাসকের তীব্র গন্ধের জন্য এটি পোকামাকড় বিরোধী। তাই অন্যান্য খাদ্যশস্য অথবা মুল্যবান জিনিসপত্র সংরক্ষণে বাসক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাসক পাতা গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন: https://rb.gy/us0076
বেল পাউডারঃ
গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে এক গ্লাস ঠান্ডা বেলের শরবত দেহ মনে কতটা চাঙা ভাব নিয়ে আসে, তা কারো অজানা নয়।
কিন্তু বেল শুধু শরবত বা পানীয় হিসেবে নয়, বরংচ সর্ব রোগের মহাঔষধ হিসেবে সুদূর প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
পেটের যে কোন পীড়া নিরাময়ে, বিশেষ করে ক্রনিক উদরাময়, কলেরা এবং অর্শরোগ নিরাময়ে কাজ করে বেল এ থাকা ট্যানিন। এছাড়াও, ভিটিলিগো, রক্তশুন্যতা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধেও বেল পাউডার অত্যন্ত কার্যকরী।
বেল পাউডার ঘি অথবা তেল এবং হলুদের সাথে মিশিয়ে ভাঙা হাড়ে মেসেজ করলে ভাঙা স্থান দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
বেল পাউডার এ রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, স্নেহ, পানি, শর্করা, ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, এসকরবিক এসিড, নিয়াসিন এবং টারটারিক এসিড।
এটি রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিক আলসারের বিরুদ্ধেও ফাইট করে। বিশেষ করে বেল এর এন্টি অক্সিডেন্ট গ্যাস্ট্রোডিউডেনাল আলসারের বিরুদ্ধে বেশী কার্যকর।
বেল পাউডার বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ( হার্ট স্ট্রোক, হার্ট এটাক) উপশম করে। এজমা অথবা ঠাণ্ডার সমস্যায় ও বেল অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
বেল পাউডার নিয়মিত সেবনে, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয়, ডায়বেটিস কমে,শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
বেল পাউডার কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/wvlu7j
মরিঙ্গা পাউডারঃ
মরিঙ্গা অথবা সজনে পাউডার যে নামেই ডাকুন না কেন, এর রয়েছে পাগল করা সব ঔষধি গুণ। মরিঙ্গা একাই প্রায় তিনশো রোগের উপশম কারী। অসম্ভব সব ঔষধি গুণের কারনে মরিঙ্গা গাছ কে মিরাকল বা ম্যাজিক ট্রি নাম দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানিদের ভাষায় এটি হলো ন্যাচারাল মাল্টিভিটামিন। আর এর পাতার; ড্রাই পাউডার অথবা ফ্রেশ সবজি যেভাবেই খান, কাজ করে সুপার ফুড অব নিউট্রিশন হিসেবে।
মরিঙ্গা পাতার গুড়ায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক ইত্যাদি। কাজেই আপনি যদি নিয়মিত এটি খান, আপনার শরীরের সমস্ত ভিটামিন এবং মিনারেলস এর ঘাটতি দুর হবে এবং শরীরের ব্যাথা, ক্লান্তি শ্রান্তি সব হাওয়া হয়ে যাবে।
সবচেয়ে মঝার ব্যাপার হলো, মরিঙ্গা তে রয়েছে মানবদেহের প্রয়োজনীয় আটটি এমাইনো এসিড। আপনি সারা দুনিয়া খুঁজলে লিমিটেড কিছু গাছে এই আটটি এমাইনো এসিড একসাথে পাবেন। মরিঙ্গা শরীরের ইম্যুউনো সিস্টেম কে বুস্ট করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দেহমনে আলাদা এক চাঙা ভাব নিয়ে আসে।
শরীরের কোথাও ব্যথায় ফুলে গেলে, কানের ভিতরে ব্যথা হলে, মাথা ব্যথা হলে মরিঙ্গা গুড়া এসব উপশম করে।
এই পাউডারের ক্লাথ করে ফোঁড়া তে লাগালে ফোঁড়া সেরে যায়।
এ ছাড়াও মরিঙ্গা গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা কমায়, হাঁপানি এবং মুত্রপাথরি রোগের উপশম করে। জ্বর সর্দি, বহুমেত্র রোগ, হজমে সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, গেটে বাট, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, হৃদরোগ- ইত্যাদি রোগের মহাঔষধ হলো সজনে অথবা মরিঙ্গা পাউডার।
এটি ক্রিমিনাশক, প্যারালাইসিস, সায়াটিকা, টিটেনাস, লিভারের বিভিন্ন রোগ এর যম হলো এই পাউডার।
কুকুর অথবা পোকামাকড়ের কামড়ে এটি এন্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। শরীরের যে কোন ক্ষত এবং ব্যথা এক তুড়িতেই গায়েব করে দেয় এই পাউডার।
আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকলে এই পাউডার ক্লাথ করে লাগাবেন। এটি চুলপড়া বন্ধ করে। হাঁড় ভেঙে গেলে তার ব্যথা উপশম করে।
ইন্টেস্টাইন অথবা প্রোস্টেট গ্লান্ডের কোন সমস্যা হলেও মরিঙ্গা পাউডার তা কমিয়ে দেয়।
মরিঙ্গা বসন্ত রোগ প্রতিরোধ করে, রক্তসংবহণতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে, এবং ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল এ রাখতেও মরিঙ্গা সেবনের জুড়ি নেই।
মানবদেহ বিশেষ করে মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দুর করে মরিঙ্গা শরীরে আনে এক সুস্থ সতেজ এবং সবল ভাব।
খাবারের রুচি ফেরাতেও এই হারবাল প্রোডাক্ট এর ভুমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গরম ভাতের সাথে দুচামচ মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেয়ে দেখুন, নিজেই টের পাবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া রুচি কীভাবে ফিরে এসেছে!
মরিঙ্গা পাউডার কিনতে এখানে ক্লিক করুন: https://rb.gy/vuf1dn
মেথি গুড়াঃ
যৌন দুর্বল মানুষের জন্য মেথিগুড়া এক আশীর্বাদের নাম। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি গুড়া, ব্যাস দু সপ্তাহ না যেতেই রেজাল্ট শুরু!
মেথির রয়েছে অনন্য সব গুণ। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে, এন্টি এজিং হিসেবে কাজ করা, হার্ট সুস্থ্য রাখা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে মেথির বিকল্প শুধুই মেথি।
মেথি একাধারে মশলা, খাবার এবং ঔষধ! বিশেষ করে রক্তে চিনি কমাতে মেথি ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।
ওজন কমাতে মেথি খান অনেকেই। এটি কিন্তু পরীক্ষিত। সপ্তাহে দু তিনদিন মেথির শরবত খেলে শরীরের স্থুলতা কমে, পাশাপাশি আপনার পেটের যাবতীয় গ্যাসের সমস্যাও দুর হবে।
জ্বর এবং খুসখুস কাশির নিরাময় ও লুকিয়ে আছে মেথি গুড়ায়। মেথিতে থাকা মুসিলেজ গলার খুসখুস ভাব একেবারে নাই করে দেয়।
নারীদের বিভিন্ন সমস্যায় মেথির ভুমিকা অপরিসীম। এর সাইটো ইস্ট্রোজেন প্রোলাক্টিন হরমোনের প্রোডাকশন বৃদ্ধি করে যা নারীদেহকে আরো সুগঠিত এবং আরো সুন্দর করে তোলে।
মাসিক অথবা পিরিয়ডের সময়ে ব্যাথা, তলপেট খিচুনি ইত্যাদি কমায় মেথি। মেথি চুলপড়া বন্ধ করে। মাথার খুসকি এবং ডেড সেল দুর করে।
মেথি ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ভান্ডার। যা ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের ত্বক কে করে উজ্জ্বল এবং ফর্সা। এতে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা শরীরের অপ্রয়োজনীয় সব উপাদান কে ঝেটিয়ে বিদেয় করে।
মেথির রয়েছে আরেকটি অভাবনীয় প্রাকৃতিক আশীর্বাদ। সন্তান জন্ম দেওয়ার নরমাল প্রসেস কে মেথি কিছুটা সহজ করে। জরায়ুর সংকোচন অথবা জরায়ুমুখের প্রসারণ এর ব্যথা কমাতে অনেকেই মেথি গুড়ার মিশিয়ে পানি খাওয়ান।
যাই হোক, অতিরিক্ত মেথি সেবনে গর্ভপাত হতে পারে, গর্ভস্থ সন্তানের ও সমস্যা হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আওব ক্ষেত্রে মেথি ব্যবহার একদম অনুচিত।
মেথি গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/fhvqyh
যষ্টিমধু গুড়াঃ
আপনি যদি একটি মাল্টিফাংশনাল হার্ব খুঁজেন, নিঃসন্দেহে যষ্টিমধু সবার আগে লিস্টে আসবে। বিশেষ করে যারা গান করেন, অথবা ভোকাল আর্টিস্ট, তারা এই আইটেম টি অনেক বেশি ইউজ করেন। এর কারন হলো, যষ্টিমধু গলার যে কোন সমস্যা দুর করে গলার স্বর কে করে শ্রুতিমধুর এবং লাবন্যমন্ডিত। এটি একটি গাছের মূল। গলার সমস্যা সমাধান ছাড়াও আরো যেসব ভুমিকা এর রয়েছে-
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন, শাসতন্ত্রের উন্নয়ন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এছাড়াও এটি আলসার, কোলাইটিস, গ্যাস্ট্রিক, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি কমায়।
যষ্টি মধু স্কিন ডিজিজ যেমন চুলকানি, ফোলা ভাব, একজিমা, সোরিয়াসিস, প্রদাহ, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, রোদে পোড়া ইত্যাদি দুর করে।
দাঁত এবং দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখতেও যষ্টি মধুর ভুমিকা রয়েছে। এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো দাতের ক্ষয় রোধ করে এবং মাড়ির ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনের চান্স স্টপ করে।
যষ্টিমধু গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/zvyi8s
শতমূলী গুড়াঃ
শত মূল অথবা শতমূলী, এটি একটি গাছের মূল যার রয়েছে জানা অজানা অনেক ঔষধি গুন।ফলিক এসিড এবং ফাইবারে ভরপুর এই মূলে আরো রয়েছে পটাশিয়াম, এবং ভিটামিন এ, বি৬।
প্রথমত এটি হজমে সহায়ক। পেটের বায়ু নিঃসরনে এর রয়েছে অসাধারণ ভুমিকা। এসিডিটি, আমাশয় ডায়রিয়া -এসকল রোগ এর ন্যাচারাল ঔষধ হলো এটি। এটি স্নায়ু সবল করে, বাতের ব্যথা দুর করে।
শতমূলী আমাশয় দুর করে, কৃমি নাশ করে যকৃত অথবা পিত্ত থলির নানাবিধ সমস্যা দুর করে। এন্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে শতমূলী অত্যন্ত ফলপ্রসূ রেজাল্ট দেয়।
আপনার যদি ইনস্ট্যবল ব্লাড প্রেসার থাকে, সেক্ষেত্রে এই উপাদান টি অনেক উপকারী আপনার জন্য৷ এটি উচ্চরক্তচাপ এবং নিম্নরক্তচাপ দুটোকেই নিয়ন্ত্রণ করে।
লিভার, কিডনি অথবা গনোরিয়া, এবং চোখ ও রক্তের যে কোন সমস্যা দুর করার যাদু রয়েছে এই শতমূলী গাছের মূল এর পাউডারেই।
এছাড়াও পুরুষদের বীর্য গাঢ় এবং ঘন করতেও শতমূলীর ব্যবহার সুপ্রাচীন।
শতমূলী গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/zxgnzo
শিমুল মূল চূর্ণঃ
বলা হয়ে থাকে পুরুষদের বীর্য গাঢ় এবং ঘন করতে শিমুল মূল চূর্ণ এর চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। এ পর্যন্ত যতগুলো হার্ব নিয়ে আলোচনা করেছি, একমাত্র শিমুল মূল এ রয়েছে যৌন শক্তি বৃদ্ধির এমন সব কার্যকরী উপাদান, যা এর ভেষজ গুণকে করেছে উন্নত এবং বহুল ব্যবহৃত।
যেসব পুরুষের বীর্য পাতলা থাকে, তাদের বাবা হওয়ার চান্স সাধারণত কম থাকে। নিয়মিত এইসব পুরুষ যদি শিমুল মূল এর চূর্ণ খায়, তাহলে তাদের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমান বাড়বে এবং বাবা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এছাড়াও, এ মূলের আরেকটি উপকার হলো- স্ত্রী সহবাস দীর্ঘ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই মূল সাথে তেঁতুল বীজ চূর্ণ এবং অশ্বগন্ধা একসাথে মিক্স করে খেলে স্ত্রী সহবাস অনেক দীর্ঘ এবং উপভোগ্য হবে।
যৌবন লম্বা সময় ধরে রাখতে শিমুলের মূল এর ভুমিকা অসামান্য।এছাড়াও অন্যান্য যেসব রোগে এটি ব্যবহার করা যাবে- রক্ত আমাশয়, যন্ত্রণাদায়ক ফোঁড়া, মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাব, শারীরিক অথবা যৌন দুর্বলতা।
এটি উদরাময় দুর করে পাশাপাশি মেছতা কমিয়ে চেহারায় আনে তারুন্যদীপ্ত উজ্জলতা।
শিমুল মূল চূর্ণ কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/gnnkag
সোনা পাতা গুড়াঃ
সোনা পাতায় রয়েছে হাইড্রোজোয়ানথ্রাসিন গ্লাইকোসাইড, সেনোসাইড সি, ডি, অন্যান্য খনিজ পদার্থ, রেজিন, মিউসিলেজ, সুগার এবং পলিঅল।নানাবিধ উপাদানে ভরপুর এই হার্বে রয়েছে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক গুণাবলী।
এটি একটি উৎকৃষ্ট রেচক, ফলে খুব সহজেই শরীর থেকে মল বাইরে নিষ্কাশন নিশ্চিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এটি সুবিখ্যাত। সোনাপাতায় রয়েছে ইমোডিন যা প্রদাহ নাশে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও এই পাতার গুড়ায় রয়েছে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টি আলসার বিরোধী উপাদান। এটি শরীরের কোষের পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্দিপনা জাগায়, শরীরের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম কে এক্টিভ করে। ডিটক্সিফিকেশন অথবা টক্সিক পদার্থ পরিষ্কার করাতেও এর রয়েছে সরাসরি ভুমিকা।
সোনাপাতা পেটের গ্যাসের সমস্যা কমায়, ক্ষুধা ও ওজন সব কন্ট্রোলে নিয়ে আসে। রুচি বৃদ্ধিকারক, ক্রিমিনাশক, অর্শ রোগের প্রতিষেধক, ইত্যাদি হিসেবেও সোনাপাতা মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে।
এছাড়াও উচ্চরক্তচাপ কমানো এবং ত্বকের নানান সমস্যা সমাধান ও এই সোনাপাতার গুড়ো থেকেই হয়ে থাকে।
সোনা পাতা গুড়া কিনতে এখানে ক্লিক করুন:https://rb.gy/9qewha
তো এই হলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে হারবাল পণ্যের প্রয়োজনীয়তা ও এর উপকারীতা। আমরা এখানে প্রতিটি ঔষধি হার্বের বিস্তারিত উপকার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যাই হোক,একটা কথা অথবা সাজেশন যাই বলেন,বলে শেষ করতে চাচ্ছি আজকে।
শরীরের বাইরের অংশের যে কোন সমস্যা সমাধানে ন্যাচারাল ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার করা যতটা সহজ, ভেতরের অংশের জন্য তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলেই আপনার ক্রনিক ডায়বেটিস এর জন্য ডাক্তার না দেখিয়ে নিজে নিজে হার্বাল মেডিসিন খেতে পারেন না।।
তাছাড়া প্রতিটি মেডিসিন একেক বায়োলজিকাল সিস্টেম এ একেক ভাবে, একেক মেজারমেন্ট এ কাজ করে।
তাই, যে হার্বটিই খান না কেন, একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।
ধন্যবাদ।
No Comments