অ্যাকনি ভালগারিস (ইংরেজি: Acne vulgaris বা Acne) বা ব্রণ নিয়ে ঝামেলা পোহান নাই এমন মানুষ আমাদের আশেপাশে বিরল। ব্রণ বা ফুসকুড়ি এমন একটি পীড়াদায়ক সমস্যা, যা একজন সৌন্দর্য সচেতন মানুষের মনোবল ভেঙে দিতে একাই একশো।
সাধারণত কৈশোর অবস্থায় এর সুত্রপাত হলেও, অনেক মধ্যবয়সী মানুষের মুখে, ঘাড়ে পিঠে এমনকি মাথার তালুতেও ব্রণ এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো, একটা দুটা ব্রণ মুখে দেখা মাত্রই ভুক্তভোগী এর প্রতিকারে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু ওই যে কথায় আছে না, ব্রণ হলো আগাছার মতন যতই আপনি তাড়ানোর চেষ্টা করুন না কেন, ঠিকঠাক একে নির্মুল করতে না পারলে কোন ফাকফোঁকড় দিয়ে ঠিকই আবার পাখনা মেলবে।তাই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া অত সহজ কাজ নয় আসলে।
যাই হোক,খুব হলো ব্রণ নিয়ে সূচনা দেওয়া। এবার চলুন ব্রণ থেকে মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকে ছোট্ট একটা সেশন করে ফেলি।
১। শুধু ব্রণ নয়, যে কোন ফুসকুড়ি, খোস বা পাঁচড়া ইত্যাদির দাগ দুরীকরনে টুথপেষ্ট খুব ভালো ভূমিকা রাখে। নতুন পুরাতন যে কোন ব্রণ, ব্রণের ক্ষতস্থান ইত্যাদি সব জায়গায় ঘরে ব্যবহৃত টুথপেষ্ট এর কিছুটা লাগিয়ে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেষ্ট লাগিয়ে নেন,সকালে উঠে ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলেন।
২।মধু আরেকটি কার্যকরী উপাদান ব্রণ এবং এর দাগ দুর করার জন্য। ত্বক পরিস্কার করতে মধুর ভুমিকা অপরিসীম।যাই হোক, ব্রণের ক্ষতস্থানে হালকা করে মধুর প্রলেপ দিন। ঘন্টাখানেক বাদে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এক দু দিন বাদে বাদে এভাবে মধু ইউজ করুন। মাস খানেক বাদেই এর ফল পেতে থাকবেন আশা করা যায়।
৩। গোলাপ জল দিয়েও আপনি আপনার ব্রণ নির্মুল করতে পারবেন।এক চা চামচ গোলাপ জলের সাথে আধা চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার আলতো করে এই মিশ্রণ টি আপনার মুখের সর্বত্র ভালো করে লাগিয়ে নিন। এভাবে রোজ টানা এক থেকে দু মাস ইউজ করবেন।
৪। ভিনেগার অথবা এসিটিক এসিড দিয়ে ও ব্রণের ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট করা যায়। সামান্য ভিণেগার একটা নরম কাপড় এ লাগিয়ে নিন। শুধুমাত্র আপনার ব্রণের জায়গায় অল্প করে এই ভিণেগার লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, এই ভিণেগার যেন আপনার মুখের সর্বত্র না লাগে।পাঁচ মিনিট পরে আপনার সম্পুর্ন মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫। রসুন একটা ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক যেটা ব্রন দূরীকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। রসুন পেস্ট অথবা রসুন বাটা সরাসরি আপনার ব্রণের জায়গায় লাগান। দশ মিনিট পরে পুরো মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬। সম্ভব হলে কয়েকটা সতেজ নিমের পাতা সংগ্রহ করুন। এবার এগুলো পেস্ট করে নিন। নিমের একশন কে লাইট করার জন্য এতে শসা অথবা আলুর পেস্ট ও মিক্স করতে পারেন। এবার আপনার মুখে বা শরীরে যেখানে যেখানে ব্রণ রয়েছে সব খানে এই মিক্সার লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট অপেক্ষা করুন, এরপর পানি দিয়ে সম্পুর্ন মুখ ধুয়ে ফেলুন।এভাবে সপ্তাহে একদিন করে কয়েক মাস লাগাতে থাকবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, অনেকেরই আবার নিমপাতার প্রতি এলার্জি থাকতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে নিমপাতা এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।
৭।ডিম এর সাদা অংশ ব্যবহার করেও অনেকে ব্রণ নির্মুল এর উপকার পেয়েছেন। আপনি যদি কাঁচা ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারেন তাহলে ডিমের সাদা অংশ আপনার ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। পুরোপুরিভাবে এটা শুকিয়ে সাদা প্রলেপ এর মত হয়ে আসলে আলতো করে এক পাশ থেকে টেনে তুলুন।
৮। কার্বন অর্থাৎ কয়লা একটি অসম্ভব কার্যকরী উপাদান ব্রণের উচ্ছেদ ঘটাতে। আপনি যেটা করবেন, কিছু কাঠকয়লা শুকনো পাউডার করে নিবেন। এরপর এটাতে সামান্য পানি/ মধু ইত্যাদি মিশিয়ে এটাকে একটা আঠালো টাইপের পেস্ট বানাবেন। এই পেস্ট ফ্রিজে সংগ্রহ করবেন এবং প্রতিদিন গোছলের আগে আপনার মুখে মাস্ক এর মত ইউজ করবেন।
তো এই হলো আমাদের ব্রণ থেকে মুক্তি পাবার ঘরোয়া উপায় এর উপর আমাদের আজকের সেশন। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, কেমন লাগলো আমাদের আজকের সেশন কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
Fabia Jearin masuka.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের চেষ্টা থাকবে আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস বা কনটেন্ট সব সময় উপস্থাপন করার । আমাদের সাথেই থাকুন।
হোম রেডিমি গুলো চেষ্টা করে দেখব।
Fabia Jearin masuka.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের চেষ্টা থাকবে আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু টিপস বা কনটেন্ট সব সময় উপস্থাপন করার । আমাদের সাথেই থাকুন।