আজকের আর্টিকেলের টপিক দেখে নিশ্চয়ই ভাবছেন, গায়ের রঙের সাথে কাপড়ের রঙ নির্বাচন করাটা কতটা যৌক্তিক! এটা কিন্তু সত্যিই, অনেকেই আছেন যারা তাদের গায়ের রঙ, বডি শেপ, বয়স ইত্যাদি কোন কিছুই চিন্তা না করে যা সামনে পায় তাই পরিধান করে এবং নিজের ব্যাক্তিত্বের বারোটা বাজিয়ে দেয়।
ড্রেস এর রং এর সাথে ব্যাক্তিত্বের তুলনা করলাম কেন, তাই ভাবছেন তো?
ভেবে দেখেন তো আপনার দাদী বা নানী যদি লাল টুকটুকে বউ এর মত একটা শাড়ী পরে আপনার সাথে কোথাও বেড়াতে যায়, থাকবে আপনার মান ইজ্জত?
আসলে বয়স টাই নয়, ড্রেস এর রঙ নির্বাচনে আরো অনেক ফ্যাক্টরের দ্বায়বদ্ধতা রয়েছে। গায়ের রঙ, অথবা স্কিনটোন তার মধ্যে অন্যতম।
আর্টিকেল এর শুরুতেই আবার ভাববেননা আমি কালো বা ফর্সা রঙ ধারীদের জন্য ড্রেস এর ক্যাটাগরি অথবা কালার ফিক্স করে দিচ্ছি।
গায়ের রং আমাদের বাঙালি মেয়েদের একটা সবচেয়ে বড় দুর্বল পয়েন্ট। কিছুটা চাপা গায়ের রঙের মেয়েরা জানে, কতটা সমস্যা তাদের প্রতি পর্যায়ে ফেস করতে হয়। এমনকি কোন একটা বিয়ের প্রোগ্রামে যাওয়ার সময়েও যেই ড্রেস টাই পরুক, কেউ না কেউ বলবেই, এই রঙে তো তোমাকে আরো কালো দেখাচ্ছে!
তো যাই হোক, প্রিয় পাঠকেরা, আজকের আর্টিকেল এ আমরা আলোচনা করবো কীভাবে ড্রেস এর রঙ নির্বাচন করলে আপনাকে আরো ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন এবং রুচিশীল দেখা যাবে।

আপনার স্কিনটোন বুঝে ড্রেসের রং নির্বাচন করুন নিন্মলিখিত উপায়ে
গায়ের রং কালো
যাদের গায়ের রঙ কিছুটা গভীর কালো তাদের জন্য হালকা অথবা লাইট কালারের ড্রেস খুবই প্রেফারেবল। হালকা পিচ,পেয়াজ, চাইনিজ পিংক, হালকা অলিভ কালার,লাইট মেরুন, এশ, লাইট স্কাই ব্লু এসব কালারের ড্রেস এ কালো রঙ কে আরো মোহনীয় এবং সুন্দর দেখায়।পাশাপাশি ড্রেস এর ডিজাইনে ও কিছুটা সচেতন হওয়া উচিৎ একটু ডার্ক টোনের মেয়েদের। যেমন, এই টোনের মোটা মেয়েদের উচিৎ অতিরিক্ত টাইট ফিট অথবা অতিরিক্ত ঢিলেঢালা দুটোই এড়িয়ে চলা।
গায়ের রঙ শ্যামলা
বলা হয়ে থাকে, শ্যামবর্ণা মেয়েদের মত মায়াবতী দেখতে আর কোন মেয়েই হয় না। ঘটনা কিন্তু আসলেই সত্যিই। শ্যামবর্ণা মেয়েদের প্রশংসা শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ থেকে শুরু করে সব কবি সাহিত্যিকই করে গেছেন। যদিও আপনি ও শ্যামবর্ণা হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার এই মায়াবী স্কিনটোন কে আপনি কেবলমাত্র আপনার পরিধেয় ড্রেস এর রঙ চুজ করেই আরো মায়াবী এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
প্রথমেই বলবো,যে কোন ডার্ক অথবা ক্যাটকেটে রঙ যেমন উজ্জ্বল হলুদ, মরচে লাল, হেভি কমলা, গিয়া, অফ হোয়াইট, স্কুল ব্লু, পেস্ট এইসব কালার আপনি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে আপনি বেছে নিন, লেমন,অলিভ, লাইট সবুজ, পিচ, লাইট পিংক, বেবি পিংক, ফিরোযা, সি গ্রিন, সাদা খাদ্দি, লাইট আইসক্রিম, ভার্নিস ইত্যাদি কালার। এসব কালার শুধু শ্যামবর্ণা মেয়েদের ই না ডার্ক টোনের মেয়েদের ও অনায়াসে মানিয়ে যায়।
গায়ের রঙ ফর্সা
গায়ের রঙ ফর্সার ও আবার প্রকারভেদ আছে। কেউ অনেক ফর্সা, কেউ মাঝারী ধাঁচের আবার কেউ ক্যাটকেটে অথবা ধবধবে ফর্সা। ফর্সা টোন যাই হোক, যে কোন ধরনের রঙ আপনার জন্য উন্মুক্ত। আপনার জন্য রঙের কোন বাধ্যবাধকতা নেই এটা সত্যি। তবে এটাও সত্যি কিছু কিছু রঙ আছে যা গায়ের রঙ কে আরো হাইলাইট করে। যেমন উজ্জ্বল লাল, হলুদ, কমলা, স্কুল ব্লু। এইসব কালারের ড্রেস পরলে আপনার গায়ের রঙ আরো বেশি হাইলাইট হবে। আপনি সাদা হল আপনাকে আরো সাদা দেখাবে, আপনি কালো হলে আপনাকে দেখাবে আরো কালো। তাই এইসব রঙের ড্রেস পরিধান করার আগে দুইবার ভাবুন।
পরিশেষে,
আপনার গায়ের রঙ যাই হোক না কেন,ড্রেস কালার এবং ড্রেস টাইপ দুটোই এমন হওয়া উচিৎ, যেন আপনার ব্যাক্তিত্ব ফুটে উঠে, এবং আপনার সু রুচির পরিচয় দেয়।
শৌখিন হতে গিয়ে আমরা যেন মানুষের হাসির পাত্রী না হই, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
তো, ‘আপনার স্কিনটোন বুঝে ড্রেসের রং নির্বাচন করুন’ আর্টিকেলটি কেমন লাগলো আপনাদের জানাবেন অবশ্যই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
No Comments