স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল- এ কথাটা আমরা আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই জানি। এই স্বাস্থ্য কে ভালো রাখার জন্য কমবেশি আমরা সবাই চেষ্টা করি। কে না চায়, একটা সুস্থ জীবন, একটা হ্যাপি জীবন!!
মানুষ মরনশীল। মানুষ কেন, পৃথিবীর সকল প্রাণীকেই মৃত্যের স্বাদ নিতেই হয় কোন না কোন দিন। মৃত্যু কে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় আমাদের কারো জানা নেই। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু অথবা বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ হয়ে লম্বা সময় ভুগে মৃত্যু, আমরা কেউই চাইনা। আর তাই এই চাওয়াকে প্রাধান্য দিতেই আমাদের আজকের আর্টিকেল, ঘরে বাইরে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
ভাবছেন বৃদ্ধ বয়সে কিভাবে মরবেন তার সাথে ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যের যত্নের কি আছে! আছে বৈকি!
আপনি সর্বদা একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। তার মানে আপনার রোগে ভুগে বিছানায় দিনানিপাত করে মৃত্যুবরন করার সম্ভাবনা কম, যদি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, এক্ষেত্রে আপনার মৃত্যু হবে স্বাস্থ্যে-কর মৃত্যু।
যাই হোক, ঘরে অথবা বাইরে, যে কোন সময়ে অথবা যে কোন স্থানে, স্বাস্থ্যে সচেতন হওয়ার জন্য কিছু বেসিক নির্দেশনা আমরা আমাদের নিবন্ধন ঘরে -বাইরে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এ দিবো-
চলুন তাহলে বিস্তারিত শুরু করা যাক-
১। প্রথমেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে হেটে আসুন ঘন্টা খানেক। সকালের মোলায়েম পরিবেশ আপনার মানুষিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য কে উন্নত করবে দিনে দিনে।
২। খালি পেটে পানি পান করুন আধালিটারের মতন। অনেকে শরীরের এক্সট্রা মেদ কমাতে এই পানিতে বিভিন্ন উপাদান যেমন, লেবু, মধু এবং আরো অন্যান্য এড করে থাকেন। আমার সাজেশন হলো আপাতত এগুলো বাদ দিন।
৩। নাস্তা করার আগেই পারলে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিন। আর যদি সকালের নির্মল বাতাসে দু এক ঘন্টা আগেই হেটে থাকেন-তাহলে এক্সারসাইজ কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনসিডার করতে পারেন।
৪।ঘরে অথবা বাইরে যেখানেই থাকুন, সকালের নাস্তাটা হওয়া চাই ওয়েল ভ্যালেন্সড, লাইট এবং শরীরের জন্য উপকারী। একটা সেদ্ধ ডিম, এক দু পিস ব্রেড, এক টা ফ্রুট জ্যুস ইত্যাদি সকালের সাদামাটা চমৎকার নাস্তা হতে পারে।
৫। বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন, রোদ থেকে বাঁচতে ছাতাও ইউজ করবেন। কারো যদি সাইনাস অথবা মাইগ্রেন এর সমস্যা থাকে, রোদে ছাতা তাদের জন্য অবশ্যই দরকারী জিনিস।
৬। পারতো, বাইরের খাবার খাবেন না। অনেকে ফুটপাতের চা-সিগারেট খুব পছন্দ করেন। এসব অভ্যাস যতটা সম্ভব বাদ দিবেন। এমনিতেই সিগারেট, পান, তামাকজাত দ্রব্যাদি ঘরে-বাইরে কোথাও ই এলাউ না স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য।
৭।সারাদিনে প্রচুর পানি পান করুন৷ চেষ্টা করুন আধা/এক ঘন্টা পরপর পানি পান করতে।এই পানি আপনার শরীরের অতিরিক্ত জমে থাকা ময়লা কে শরীরের বর্জ্য পদার্থ হিসেবে বের কর দিবে।
৮। অফিসে টানা কাজ করবেন না যদি একনাগাড়ে বসার অথবা দাঁড়ানোর কাজ হয়। আধাঘন্টা পরপর চেষ্টা করবেন আপনার বসা অথবা দাঁড়ানোতে মিনিট দু এক গ্যাপ দিতে।
৯।প্রচুর দেশীয় ফল খাবেন। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন দু তিনটা করে দেশীয় ফল খেতে।
১০।রাতের খাবার ৯ টার আগে খাবেন। সকালের নাস্তা ৭-৮ টার ভেতর এবং দুপুরের খাবার খাবেন দুপুর ২ টার মধ্যে।
১১। শরীরের যত্ন নেবার অন্যতম উপায় হলো পর্যাপ্ত ঘুম দেওয়া। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন, সকালে আগেই ঘুম থেকে উঠে যাবেন।
১২। নিয়মিত রুটিন চেক আপ গুলো হসপিটালে যেয়ে করিয়ে নিবেন।
এই হলো আমাদের আজকের ঘরে-বাইরে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এর উপরে বিশদ। মোদ্দা কথা কি জানেন? আপনার স্বাস্থ্যে আপনার সম্পদ। তাই ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন, এই সম্পদের যত্ন আপনার নিজেকেই নিতে হবে। বৃদ্ধ বয়সে ভালোয় ভালোয় -ভালোয় মৃত্যু অথবা সারাটাজীবন একটা স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করা- দুটাই আপনার সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে অনেকটাই।
আজ তা হলে এ পর্যন্তই৷ ভালো থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Like & share our Facebook page : https://www.facebook.com/masukanetbd
No Comments